চলতি সপ্তাহে আকুর বিল পরিশোধ, রিজার্ভ নামবে ২৩ বিলিয়নে
০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৩ পিএম | আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৩ পিএম
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে দুই মাসের (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর) আমদানি বিল নিষ্পত্তি হচ্ছে চলতি সপ্তাহে। আকুভুক্ত ৯টি দেশের আমদানি বিল বাবদ মোট ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ হবে। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ কমে দাঁড়াবে ২৩ বিলিয়ন ডলারে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট তথ্য বলছে, গতকাল রোববার পর্যন্ত দেশের রিজার্ভ ছিল ২৫ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে গত দুই মাসের আকু বিল ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বাদ যাবে। এতে মোট রিজার্ভ নেমে আসবে সাড়ে ২৩ বিলিয়ন ডলারে। অথচ গত জুলাই মাসেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২৬ বিলিয়ন ডলার। সূত্র বলছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর সময়ের জন্য আকুভুক্ত ৯টি দেশের আমদানি বিল বাবদ মোট ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার চলতি সপ্তাহে পরিশোধ করতে হবে। এতে মোট রিজার্ভ ২৫ দশমিক ২ বিলিয়ন থেকে দেড় বিলিয়ন ডলার চলে গেলে রিজার্ভ দাঁড়াবে ২৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।
গতকাল রোববার পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের নির্দেশিত (বিপিএম-৬) মানদ- অনুযায়ী বর্তমানে রিজার্ভ রয়েছে ১৯ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। এ রিজার্ভ থেকে প্রায় ৬ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বাদ দিলে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ থাকবে ১৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। যা আইএমএফ’র বেঁধে দেওয়া সীমা ১৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে কিছুটা কম।
তবে আশা জাগাচ্ছে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়। ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে রেমিট্যান্সের পরিমাণ। আগস্ট ও সেপ্টেম্বরের মতো সদ্য বিদায়ী অক্টোবর মাসেও প্রবাসী আয়ের গতি ছিল ঊর্ধ্বমুখী। অক্টোবরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ২৪০ কোটি ডলার। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে) এর পরিমাণ প্রায় ২৮ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। মাসটিতে প্রতিদিন গড়ে ৯২৭ কোটি টাকা পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
এর আগের মাস সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪৮ লাখ ডলার (২ দশমিক ৪০ বিলিয়ন) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে) ২৮ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকার বেশি। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স আসে।
আগের অর্থবছরের শেষ মাস জুনে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার। তার আগের মে মাসে আসে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। এছাড়া এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ডলার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ডলার এবং জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
এর আগে দেশের ইতিহাসে একক কোনো মাসে সর্বোচ্চ ২৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে। বছরভিত্তিক হিসাবে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে ২০২০-২১ অর্থবছরে। ওই অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স আসে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার। আর চলতি বছরের জুন মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে মোট ২৫৪ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় দেশে এসেছে।##
বিভাগ : রাজনীতি
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
কান্নায় রয়েছে যেসব উপকারিতা
জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংগঠন ‘ইউএনআরডাব্লিউএ' এর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলো ইসরাইল
দিনাজপুরের খানসামায় ১১ বছর আগের চাঁদাবাজি ও বিএনপি'র কার্যালয় ভাংচুরের মামলা
চাঁদপুরে ডিম ছাড়ার পর ইলিশের গবেষণা
নিষেধাজ্ঞা শেষ পদ্মা নদীতে ইলিশ ধরায় ব্যস্ত জেলেরা
বগুড়ায় ২০ টাকায় পঁচা পেয়াজ কিনে ৮০ টাকায় বিক্রি, কেজিতে লাভ ৬০ টাকা
আন্দোলনে বিরোধীতা ও ছাত্রলীগের পক্ষ নেয়ায় জবি শিক্ষককে অবাঞ্চিত ঘোষণা
ইরানের স্যাটেলাইট ‘কোসর ও হুদহুদ’ উৎক্ষেপন করবে রাশিয়া
মৃত্যুর আগে ৭২ ঘন্টা কিছুই খাননি হামাস নেতা সিনওয়ার
যানজটমুক্ত কক্সবাজার শহর গড়তে জেলা পুলিশ প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ড্রাইভারদের
ইসিকে সরকারের ৯ সতর্কতা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এবার বাংলা ব্যালট পেপার সংযুক্ত
কী কারণে স্যোশাল ইসলামী ব্যাংকে ৫৮৯ জনের চাকরিচ্যুতি
গর্ভবতী না হয়েও মাতৃত্বকালীন ভাতা নিচ্ছেন নারী ইউপি সদস্য
মন্দিরে ‘এসি’র পানি ‘চরণামৃত’ ভেবে পান করছেন ভক্তরা!
সঞ্চয়পত্র থেকে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিল সরকার
‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ, যা বলছেন নেটিজেনরা
'মিডিয়ায় মাফিয়া তাপসের উত্থান এবং হেরেমখান বৃত্তান্ত'
স্কুল-কলেজে নতুন ফি নির্ধারণ করল সরকার
ট্রাম্পকে সমর্থন জানালেন মার্কিন পডকাস্টার জো রোগান